অনুপ্রবেশে কোণঠাসা নেতারা, নজর পোস্টার-ফেস্টুন-ব্যানারে

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানারে নজর রাখছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। অনুমতি ছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণে কেউ আর ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে পোস্টার, ফেস্টুন, ব্যানার করতে পাবরে না বলে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

মাদক বিক্রেতা, দাগী অপরাধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীদের দলে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করতেই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে ব্রেকিংনিউজকে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা।

তারা জানিয়েছেন, টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় দলে অনুপ্রবেশ ঘটছে। আওয়ামী লীগ করে না, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ লালন করে না, এমন ব্যক্তিরা হঠাৎ করেই পোস্টার-ফেস্টুন, ব্যানার সেঁটে আওয়ামী লীগ বনে যাওয়ার চেষ্টা করেন। অনেক সময় বিভিন্ন অপরাধে জড়িতরাও নেতাদের ছবি দিয়ে পোস্টার-ফেস্টুন সাঁটিয়ে দেন দেয়ালে দেয়ালে। এতে বিপাকেও পড়তে হয় নেতাদের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই সমস্ত নব্য আওয়ামী লীগারদের জন্য বরাবরই কোণঠাসা থাকছে তৃণমূল্যের ত্যাগী নেতাকর্মীরা। ঢাকা মহানগর দক্ষিণে ৭৫ টি ওয়ার্ড ও ২৪টি থানা রয়েছে। ওয়ার্ড- থানাগুলোতে অনুপ্রবেশের পথ বন্ধ করতে পোস্টার-ফেস্টুন, ব্যানারে নজর রাখছে দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। ওয়ার্ড-কিংবা থানা পর্যায়ে কেউ পোস্টার করতে চাইলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি ছাড়া কেউ পোস্টার-ফেস্টুন করতে পারবে না।

এছাড়াও পোস্টার ফেস্টুনেও বিভাজনের রাজনীতি স্পষ্ট দেখা গেছে। শুধুমাত্র সভাপতি-কিংবা সাধারণ সম্পাদককের একক ছবি দিয়ে পোস্টার-ফেস্টুন করছে অনেকে। পোস্টার-ফেস্টুনে এ রকম বিভাজনও বন্ধ করতে কড়া নির্দেশনা রয়েছে। পোস্টার-ফেস্টুন করলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উভয়ের ছবি ব্যবহার করতে হবে।

নগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘পোস্টার-ফেস্টুন তৈরি করার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট মতামত দেয়া হয়েছে। একজনের ছবি দেয়, আরেক জনের ছবি দেয় না। গ্রুপিং তৈরি করার জন্য এক শ্রেণির মানুষ, এগুলো করা যাবে না বলে কার্যনির্বাহীর বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ব্রেকিংনিউজকে বলেন, ‘অনেকে আছে আওয়ামী লীগ করে না। তারা যে যার মত করে ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার করে আওয়ামী লীগের নেতা হিসেসে পরিচয় দিয়ে অপরাধ করে, চাঁদাবাজি করে, সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেয়। এই সমস্ত অপরাধী ও অনুপ্রবেশকারীদের পথ রুখতে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার করতে অনুমতি নিতে হবে।’

তবে ওয়ার্ড হোক বা থানার নেতা সবাইকে নগর আওয়ামী লীগ থেকে অনুমতি নিতে হবে। পোস্টার-ফেস্টুন করার ক্ষেত্রেও একজনের ছবি ব্যবহার করে রাজনৈতিক বিভাজন সৃষ্টি করা যাবে না বলেও কঠোর নির্দেশনা রয়েছে বলে জানান হুমায়ুন কবির।